আমাদের কথা
আসসালামু আলাইকুম,
আমাদের শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাগতম । ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার একটি বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।১৯৪৭ সালে এলাকার স্বনামধন্য এবং ভারতীয় উপমহাদেশের হাতে গোনা ক’জন ডক্টরেট এর মধ্যে একজন জনাব ড. পি. কে. রায় এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ।
এখানে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১ম শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম সুচারুরূপে সম্পন্ন করে আসছে । আমাদের বিদ্যালয়ে ২৩ টি শ্রেণি কক্ষ, ০১ টি অফিস কক্ষ, ১ টি সুসজ্জিত প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় , ১ টি শিক্ষক মিলনায়তন, ১ টি বিজ্ঞানাগার, ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ৩ টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ১টি সুবিশাল অডিটোরিয়াম, ১ বিশাল পুকুর, ১ টি ক্যান্টিন , ১ টি প্রশস্ত খেলার মাঠ এবং রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বাসভবন। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ও পছন্দমত বই, পত্র-পএিকা পড়াতে উৎসাহিত করতে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ও আধুনিক গ্রন্থাগার । যেখানে প্রতি শ্রেণীর জন্য সপ্তাহে একদিন গ্রন্থগারে লেখাপড়া বাধ্যতামূলক ।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাল ফলা ফলের জন্য যে কয়েকটি বিষয় জরুরী তা হলো একটি দক্ষ ম্যানেজিং কমিটি, প্রশিক্ষিত শিক্ষক মন্ডলী, আন্তরিক ও সহযোগীতা মূলক মনোভাব এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা । আর এসবের সমন্বয়ে গঠিত আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি । এই বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষিত শিক্ষকমন্ডলী তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ী এবং পরবর্তী নেতৃত্ব প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তোলার আপ্রান চেষ্টা করে। তার ফলসরূপ বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিল। শুধু তাই নয় ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও নির্ব াচিত হয়েছিল এ প্রতিষ্ঠান থেকে। শিক্ষার্থীর নাম রিফাত জাহান বর্ষা।
প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে বৃক্ষায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষন করা হয়ে থাকে । এস এম এস এর মাধ্যমে অভিভাবকগনকে সন্তানদের যাবতীয় তথ্য দেয়া হয় । তাছাড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি-বাড়ি যেয়ে পড়া-লেখা তদারকির জন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে হোম ভিজিটের ব্যবস্থা চলমান আছে । এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দৈহিক ও মানসিক ভাবে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম ভিক্তিক কর্মসূচীর পাশাপাশি প্রাত্যহিক শরীরচর্চা করা হয় । এছাড়া বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা । প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, সামাজিক, মানসিক ও নৈতিক উন্নতি সাধনের উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে । প্রতিষ্ঠানটি তার লক্ষ্য অর্জনের পথে সদা অগ্রসরমান ।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
এটি ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ড. পি. কে রায়। এটি ১৯৫১ সালে বাই লেটারাল স্কুল হিসাবে স্বীকৃতি পায়
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
এলাকার শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।